বিজ্ঞাপন

গুচ্ছে কেন্দ্রীয়ভাবে মেরিট ও মাইগ্রেশন বহালের দাবি গুচ্ছ ভর্তিচ্ছুদের!

Gst, গুচ্ছ, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার ২০২২, গুচ্ছ আবেদন লিংক, গুচ্ছ প্রবেশপত্র ডাউনলোড, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ২০২২, গুচ্ছ ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন

               ©সংগৃহীত ছবি

গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে মেরিট ও মাইগ্রেশন বহাল চায় গুচ্ছ ভর্তিচ্ছুরা।

ইতিমধ্যেই গুচ্ছে ৪টি মেরিট ও ৪টি মাইগ্রেশন প্রকাশ করেছে। 

গুচ্ছ ভর্তিচ্ছুদের দাবি, প্রত্যেক শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা একইসাথে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয় এবং তাদের পছন্দের বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়ে ভর্তির কার্যক্রম চূড়ান্ত করে। এ শিক্ষাবর্ষের ক্ষেত্রে যার ব্যতিক্রম নয়। বর্তমানে ঢাবি, চবি, জাবি, রাবি, ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ সহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অপেক্ষামান তালিকা হতে নির্বাচিত হচ্ছে যার ফলে গুচ্ছে ইতোমধ্যে ভর্তিকৃত অনেকেই ভর্তি বাতিল করছে এবং সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো কৃষি গুচ্ছের আওতাধীন আট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় মেরিটের ভর্তি প্রক্রিয়া চলমান সেখানেও গুচ্ছ থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করছে এবং সামনে আরো ভর্তি বাতিল হবে। সর্বপরি গুচ্ছের অধিকাংশ আসন ফাঁকা থাকবে বলে আমরা আশংকা করছি।  যা পূরণের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে মেরিট এবং মাইগ্রেশন চালু রাখার বিশেষ প্রয়োজন।

অপরিদকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শুন্য আসন পূরণ করার জন্য গণবিজ্ঞপ্তির মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইগ্রেশন পদ্ধতিতে অনেক জটিলতা দেখা দিবে যা শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে ভোগান্তি ও অস্বচ্ছতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অধিকাংশ শিক্ষার্থী ভালো মার্কস ও মেরিট নিয়েও পছন্দের বিষয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পাবে না। এছাড়াও যদি মেরিট এবং মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয় আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়বে এবং হতাশা ও মানসিক কষ্টে ভোগাবে যা শিক্ষার্থীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।  

অপরদিকে, গুচ্ছভুক্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আসন সংখ্যা খালি হতেই আছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় আসন ফাঁকা রয়েছে ৭৭টি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা রয়েছে ১৬২টি, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আসন ফাঁকা রয়েছে ৭০টি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আসন ফাঁকা রয়েছে ২৫৯টি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আসন ফাঁকা রয়েছে ৯০টি, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আসন ফাঁকা রয়েছে ১০৮টি, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আসন ফাঁকা রয়েছে ৫৬টি, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা রয়েছে ৬২টি। এরকম সব বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক আসন ফাঁকা রয়েছে এবং যার সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তেই আছে। 

অপর পাশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শেষে ক্লাস শুরু করে দিয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী সেসব ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারতেছে না। তারা মেরিট ও মাইগ্রেশন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দতায় ভুগতেছে। এতে তারা এক দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। আর উপাচার্য স্যাররা এ বিষয়ে এখনো নিশ্চুপ। গুচ্ছ ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থীদের কোনো নোটিশ দিয়ে অবগত করেনি। তবে তারা শীঘ্রই এটা নিয়ে গুচ্ছ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসবে বলে আশ্বাস দেয়।  

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

বিজ্ঞাপন